শেষ হচ্ছে কৃষিজমি: ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করার আহবান

প্রতিনিয়ত দেশে গড়ে উঠেছে কলকারখানা । কোথাও নির্মান হচ্ছে বসতবাড়ি, ইটভাটা, নান্দনিক রিসোর্ট বা পিকনিক স্পট। এসব করতে গিয়ে আশঙ্কাজনক হারে কমছে আবাদি জমি । প্রতি বছর বিপুল পরিমান কৃষিজমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে । আবার প্রতি বছর কয়েক লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্ভেগ বাড়ছে ।
এ অবস্থায় কৃষিজমি রক্ষায় এখন থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। চাষযোগ্য জমিতে (তিন ফসলি ও দোফসলি কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কোন বাড়িঘর তৈরি করা যাবে না। অথচ ক্রমাগত কৃষিজমি হারিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, কৃষি উৎপাদনের ওপর দেশের অর্থনীতির ভালোমন্দ নির্ধারিত হয় ।
অথচ জলবায়ুর প্রভাবে নদী ভাঙন, লবনাক্ততা, শিল্পকারখানা, ও যত্রতত্র বসতি স্থাপনের কারনে সারা দেশে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছ । দেশের বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটার মহোৎসবও চলছে । অনেকেই মাটি বিক্রি করে জলাশয় করছে।
কৃষিজমি ভরাটের ফলে প্রতিদিন মোট কৃষিজমি কমছে ৯৬ বিঘা । তামাক চাষের কারনে প্রতিদিন কয়েক হাজার একর কৃষিজমির উর্বরতা নস্ট হচ্ছে ।
কৃষি জমি কমছে এটা বাস্তবতা । না কমার জন্য নীতিমালাও আছে । বাস্তব প্রয়োজনে শিল্পকারখানার জন্য জমি দিতে হয়। ভূমির জন্য পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ। দোফসলি জমি কোন অবস্থায়ই যেন অন্য কাজে ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে মনিটরিং করতে হবে ।
পর্যায়ক্রমে কৃষিকে অত্যাধুনিক কৃষিতে নিয়ে যাওয়া, উৎপাদন বাড়ানোয় মনোযোগী হতে হবে । আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ার মধ্যে অর্আৎ প্লাস্টিক হাউসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে ।
সংগ্রহীত: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *