শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সংকট

গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক সাস্থ্যসেবার রোল মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া রয়েছে উপজেলা সাস্থ্যসেবা কেন্দ্র । কিন্তু দীর্ঘদিন আলোচনা থাকলেও শহরাঞ্চলে গড়ে ওঠেনি প্রাথমিক সাস্থসেবার কোনো ব্যবস্থা। অসুস্থ হলে নগরবাসীকে যেতে হয় হাসপাতালে।
এ পরিস্থিতিতে ‘সাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে কাজ করি একসাথে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব সাস্থ্য দিবস । ২০২৩ সালের ১ জুলাই দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার । কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি, কালাজ্বর নির্মূলসহ বিভিন্ন ভার্টিক্যাল সাস্থ্য কর্মসূচিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সার্বজনিন সাস্থ্যসেবার লক্ষ অর্জন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনিরাপত্তা সূচক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সূচকে অনেক পিছিয়ে আছে । অন্তর্ভূক্তিমূলকতা সূচকে ৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন (৩০.৮)।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে । ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চল প্রর্যন্ত চিকিৎসা পৌছে দিতে হবে ।
চিকিৎসক,নার্স,ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি ঠিকভাবে কাজ করেন তা হলে তা সম্ভব । আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্য বক্তারা বলেন, ইপিআই কর্মসূচির আওতায় শিশু, কিশোরী ও নারীদের ১১ টি মারাত্বক রোগের বিরুদ্ধে বিনামুল্যে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে; যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে করোনা মহামারিতে মৃত্যু যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক কম ছিল। এটি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৯৪ শতাংশ মানুষকে বিনামুল্যে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে পোলিও মুক্ত ঘোষণা এবং ২০২৩ সালে কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের স্বীকৃতি আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অনন্য অর্জন উল্লেখ করে যক্ষ্মা ও এইচআইভি -এইডস নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যের কর্তাব্যাক্তিরা ।
সংগ্রহীত: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *