বগুড়ায় মাঠের পর মাঠ সোনালি ধানের শিষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের চোখেমুখে ছড়াচ্ছে হাসির ঝিলিক। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে । বৃষ্টি না থাকায় ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুরার কৃষকরা । সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে বগুরার খ্যাতি রয়েছে ।
বিপুল পরিমাণে শাকসবজির উৎপাদন শুরু হলেও কৃষি অর্থনীতির চাকা সচলে মুখ্য ভুমিকায় থাকে বোরো ধান । মানূষের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম চলবে মাসব্যাপি । জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়,বোরো জমির ধান পেকে সোনালি রঙে শোভা ছড়িয়ে দুলছে । পাকা ধান কাটায় ব্যাস্ত কৃষক-শ্রমিক ।
এবার মৌসুমের শুরু থেকেই বৈরি আবহাওয়ার ধকল, তারপর দফায় দফায় কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম গুনতে হয়েছে কৃষককে । তিনি সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে মিনিকেট জাতের ধান আবাদ করেছেন । এবার চাষাবাদে বিঘাপ্রতি আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে ।
প্রতিকুল আবহাওয়া, সহায়ক ধানের জাত নির্বাচন আর কৃষকদের আধুনিক কলাকৌশল প্রদান করায় এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে । জেলার কিছু কিছু স্থানে বোরো ধান কাটা মাড়াই করা শুরু হয়েছে । আশা করছি কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাবেন । এবার সার ও সেচের কোনো ঘাটতি না থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।