sunaid

খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি ভাবতে হবে নিরাপদ খাদ্যের কথা

উর্ধ্বমুখী জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আমাদের ভাবতে হয়েছে অধিক উৎপাদনশীলতার কথা । নতুন জাত আবিস্কার করতে গিয়ে, পোকার আক্রমন থেকে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে কিংবা দীর্ঘদিন খাদ্য সংরক্ষণ করতে গিয়ে আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হয়েছে। এতে খাদ্য অখাদ্য হয়ে যায়নি । অসৎ মানুষ খাদ্যকে অনিরাপদ করে তুলছে ।
অসৎ বানিজ্যিক উদ্দেশ্য থেকে খাদ্যকে বিষাক্ত করে তোলা হয়েছে । আর এ কাজে যুক্ত হয়েছে জেনে, আর অনেকেই যুক্ত হয়েছে না জেনে । কৃষক যখন ফসলের কীটের আক্রমনে দিশাহারা তখন তাকে পরামর্শ দেয়ার কেউ ছিল না। কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপারের প্রতি আমাদের ব্যাপক উদাসীনতা ।
যেসব দেশের মানুষ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে অসচেতন তাদের উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে কম । উন্নত দেশেগুলোর মানুষ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানুষের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করে । অরিনরাপদ খাদ্য গ্রহনণর ফলে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিনিয়তই উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে ।
‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ শীর্ষক আমাদের একটি আইন রয়েছে । ২০১৫ সাল থেকে সেই আইন কার্যকর করা হয় । এ আ্ইন অনুযায়ী খাদ্যে ভেজাল সর্বাচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়ার ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। নিরাপদ খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা’ ও ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ গঠনের কথাও উল্ল্যখ আছে।
সংগ্রহীতঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *