দেশে কৃষিজমির পরিমান কমছেই। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষিজমির পরিমান অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে আড়াই গুনেরও বেশি। ৫৩ বছর আগেও বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশগুলোর একটি। জনসংখ্যা আড়াই গুন বেড়ে যাওয়ায় বর্ধিত জনসংখ্যার প্রয়োজনে ঘরবাড়ি নির্মানে ব্যয় হয়েছে ব্যাপকহারে কৃষিজমি।
রাস্তাঘাট,বাজার,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,অফিস-আদালত তৈরিতেও কৃষিজমির ব্যবহার এড়ানো যাচ্ছে না। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্যও ব্যাপকভাবে ব্যবহিত হচ্ছে কৃষিজমি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষিশুমারিতেও নিশ্চিত করা হয়েছে কৃষিজমি কমার তথ্য।
মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের “বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবনতা” শীর্ষক গবেষনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রতি বছর ৬৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। শুধু অবকাঠামো নির্মান কাজের কারনে প্রতি বছর ৩ হাজার হেক্টর জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষা ও f‚মি জোনিং আইন ২০১০ অনুসারে কৃষিজমি কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না । বেঁচে থাকার জন্য বিশেষত খাদ্য উৎপাদনে কৃষিজমি সুরক্ষার প্রয়োজনিয়তা অনস্বীকার্য ।
পাশাপাশি বাড়িঘর, রাস্তা, স্থাপনা কলকারখানা না বানালেও চলবে না । এ সমস্যার মোকাবিলায় গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তুলে ঘরবাড়ি পরিকল্পনা নিতে হবে । কম জমিতে বহুতল ভবন গড়ে তুলে ঘরবাড়ি বানানোর জন্য কৃষিজমির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা দরকার।